২১।।প্রশ্ন ও উত্তর
২১।।প্রশ্ন: একজন আদর্শ শিক্ষকের মধ্যে কি কি গুণাবলী থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: একজন আদর্শ শিক্ষক হতে হলে, তাকে কিছু বিশেষ গুণাবলী ধারণ করতে হয় যা তাকে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি অনুসরণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এসব গুণাবলীর মধ্যে কয়েকটি হলো:
- সহানুভূতি ও দয়া: একজন শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে হবে এবং তাদের সমস্যা ও অনুভূতির প্রতি সজাগ থাকতে হবে।
- ধৈর্য: শিশুদের শেখানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থী সকলকে এক কাতারে রেখে শেখানো সহজ নয়, তাই শিক্ষককে ধৈর্যশীল হতে হবে।
- চিন্তা ও বিশ্লেষণ করার দক্ষতা: শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে হবে, তাই তার নিজেরও যুক্তি এবং চিন্তা শক্তি মজবুত হতে হবে।
- সৃজনশীলতা: শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন ও আকর্ষণীয় উপায়ে পাঠদান করতে হবে যাতে তারা সহজে বিষয়বস্তু মনে রাখতে পারে।
- পেশাদারিত্ব: শিক্ষককে তার পেশাগত আচরণে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং শ্রেণীকক্ষে সময়ের ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করতে হবে।
- নেতৃত্বগুণ: একজন শিক্ষককে ক্লাসের মধ্যে নেতৃত্ব প্রদানে দক্ষ হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পথনির্দেশনা পায়।
- যোগাযোগ দক্ষতা: শিক্ষককে স্পষ্টভাবে এবং ভালোভাবে যোগাযোগ করতে জানতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে বিষয়বস্তু বুঝতে পারে।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে আপনি শিক্ষকের আদর্শ গুণাবলী গুলো তুলে ধরবেন, যা একজন শিক্ষকের শ্রেণীকক্ষে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক হয়। আপনার উত্তর যেন ঐসব গুণাবলীকে গুরুত্ব দিয়ে লেখা হয়, যেমন সহানুভূতি, ধৈর্য, পেশাদারিত্ব ইত্যাদি।
উদাহরণ:
"একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, আমাকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধাশীল মনোভাব পোষণ করতে হবে। তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা বুঝে এবং সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে আমি তাদের শেখানোর জন্য আরও সৃজনশীল এবং পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করব। আমি ধৈর্যশীল হতে চেষ্টা করব, যাতে আমার শিক্ষার্থীরা সহজে বিষয় বুঝতে পারে এবং শ্রেণীকক্ষে আমার নেতৃত্বে তারা স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে।"
২২।।প্রশ্ন ও উত্তর
২২।।প্রশ্ন: একজন শিক্ষক হিসাবে ছাত্রদের আপনি কিভাবে মোটিভেশন করবেন?
উত্তর: একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য, তাদের প্রতি মনোযোগ দিয়ে ও ব্যক্তিগত চাহিদা বুঝে কার্যকরী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো:
- শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করা: শিক্ষার্থীদের ছোটখাটো সফলতাগুলোর জন্যও প্রশংসা করা উচিত। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং আরও ভালো করার উৎসাহ জাগায়।
- উদাহরণ প্রদর্শন করা: বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে শেখানো হলে শিক্ষার্থীরা সহজেই বুঝতে পারে এবং অনুপ্রাণিত হয়।
- লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করা: শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সহায়তা করা উচিত, যাতে তারা সেগুলো পূরণ করতে উৎসাহিত থাকে।
- ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা: শিক্ষার্থীদের সাথে ইতিবাচক এবং উৎসাহব্যঞ্জক কথাবার্তা বলতে হবে, যা তাদের মনোবলকে উজ্জীবিত করবে।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য সমর্থন প্রদান করা এবং তাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সাহায্য করা উচিত।
- ব্যক্তিগত গল্প ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা: শিক্ষক তার নিজের শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে শিক্ষার্থীরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারে এবং আরও পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত হয়।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার সময় আপনার অনুপ্রেরণাদায়ক এবং ইতিবাচক পদ্ধতির কথা উল্লেখ করবেন, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শিক্ষাগত উন্নতির জন্য সহায়ক। আপনার উত্তরে যেন ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ, ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা, এবং ব্যক্তিগত গল্প শেয়ারের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
উদাহরণ:
"একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা মানে তাদের প্রতি আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করা। আমি প্রতিদিনের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ছোটখাটো অর্জনগুলোর প্রশংসা করবো এবং তাদের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করবো। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আমি তাদের জানাতে চাই যে অধ্যবসায় এবং ইতিবাচক মনোভাব জীবনকে সুন্দর করে তোলে।"
২৩।।প্রশ্ন ও উত্তর
২৩।।প্রশ্ন: শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় (Wastage) ও অনুন্নয়ন (Stagnation) বলতে কি বোঝেন?
উত্তর: শিক্ষাক্ষেত্রে "অপচয়" এবং "অনুন্নয়ন" বলতে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়ায় কিছু নেতিবাচক পরিস্থিতি বোঝায়, যা শিক্ষার মান ও ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ করে। এর মধ্যে রয়েছে:
- অপচয় (Wastage): এটি সেই পরিস্থিতি যেখানে শিক্ষার্থী কোনো স্তরের পড়াশোনা শেষ না করেই বিদ্যালয় ত্যাগ করে। এর ফলে শিক্ষার্থীর অর্জিত শিক্ষার পূর্ণতা আসে না, এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হয়।
- অনুন্নয়ন (Stagnation): এটি সেই অবস্থা যেখানে শিক্ষার্থী একই স্তরে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করে এবং উপরের স্তরে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ বাড়ে এবং তার শিক্ষাজীবনের গতিশীলতা হারায়।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার সময় শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় এবং অনুন্নয়নের প্রভাব ও কারণগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন। আপনি কেন এটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের জন্য ক্ষতিকর এবং কীভাবে এটি এড়ানো যায় সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে পারেন।
উদাহরণ:
"শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় বলতে বুঝায় যখন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট পর্যায়ের শিক্ষা অসম্পূর্ণ রেখে বিদ্যালয় ত্যাগ করে। এটি যেমন ব্যক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে, তেমনি সামাজিক উন্নয়নেও প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, অনুন্নয়ন হলো শিক্ষার্থীর সেই অবস্থা যখন সে দীর্ঘ সময় ধরে একই শ্রেণীতে আটকে থাকে এবং উচ্চতর স্তরে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ ও শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।"
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: ২৪।।আপনার মতে সরকারী স্কুলগুলো বেসরকারী স্কুলের থেকে কোন কোন দিকে পিছিয়ে আছে?
উত্তর: সরকারী স্কুলগুলো সাধারণত বেসরকারী স্কুলের তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের মানের উপর প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
- পর্যাপ্ত অবকাঠামো: সরকারী স্কুলগুলোর অনেকেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে ভুগছে, যেমন সুপরিসর শ্রেণীকক্ষ, আধুনিক শিক্ষাসামগ্রী ও প্রযুক্তির অভাব।
- পাঠদানের মান: বেসরকারী স্কুলে শিক্ষকদের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং প্রশিক্ষণ আরো বেশি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয়, ফলে শিক্ষার মান উন্নত হয়।
- ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত: সরকারী স্কুলগুলোতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত অনেক সময় অনুকূলে থাকে না, ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত মনোযোগ পায় না।
- সহশিক্ষা কার্যক্রম: বেসরকারী স্কুলগুলোতে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ বেশি থাকে, যা শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে সহায়ক হয়।
- ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং: সরকারী স্কুলের ব্যবস্থাপনা এবং মনিটরিং সিস্টেমে কমতি থাকার কারণে উন্নতির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি সরকারী এবং বেসরকারী স্কুলের বিভিন্ন দিকগুলোর তুলনা করতে পারেন। বিষয়গুলো উপস্থাপনের সময় নির্দিষ্ট কারণগুলি তুলে ধরবেন এবং কোথায় কোথায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে তা উল্লেখ করবেন।
উদাহরণ:
"সরকারী স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান উন্নত করার প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, আধুনিক শিক্ষাসামগ্রী এবং শিক্ষক পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক সময় সীমাবদ্ধতা থাকে। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের স্বল্পতা থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হতে পারে। তবে, উন্নয়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং মনিটরিং বাড়ানো হলে এই পিছিয়ে থাকার জায়গাগুলোতে অগ্রগতি সম্ভব।"
২৫।।প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন:২৫।। আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর:
ধন্যবাদ আমাকে আমার পরিচয় দেওয়ার এই চমৎকার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
আমি [আপনার নাম], [আপনার জেলার নাম] থেকে।
আমি বর্তমানে [আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা] অর্জন করছি, এবং [বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম] থেকে এটি করছি।
আমি আমার বিদ্যালয় জীবন [স্কুলের নাম] এ সম্পন্ন করেছি, যেখানে আমার ফলাফল ছিল [আপনার ফলাফল]।
আমি একজন আত্মপ্রেরিত ব্যক্তি, যা আমাকে প্রতিটি পরিস্থিতিতে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে সহায়তা করে।
আমার স্বল্প-মেয়াদি লক্ষ্য একটি ভাল চাকরি পাওয়া এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া।
আমার দীর্ঘ-মেয়াদি লক্ষ্য হলো একজন দক্ষ শিক্ষক হওয়া এবং আমার পরিবারকে গর্বিত করা।
আমার শখ হলো [আপনার শখ, যেমন বই পড়া, সংগীত, আঁকা ইত্যাদি]।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে আপনাকে নিজের পরিচয় এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, এবং লক্ষ্য তুলে ধরতে হবে। আপনার শখ ও ব্যক্তিগত গুণাবলীরও উল্লেখ করতে পারেন, যা আপনার চরিত্রকে ভালভাবে উপস্থাপন করবে।
উদাহরণ:
"ধন্যবাদ আমাকে আমার পরিচয় দেওয়ার এই চমৎকার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি [আপনার নাম]। বর্তমানে আমি [আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা] অর্জন করছি এবং [বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম] থেকে এটি করছি। আমি [আপনার স্কুল নাম] থেকে আমার স্কুল জীবন শেষ করেছি এবং [ফলাফল] পেয়েছি। আমি একজন আত্মপ্রেরিত ব্যক্তি, যা আমাকে প্রতিটি পরিস্থিতিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। আমার লক্ষ্য একটি ভালো চাকরি পাওয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে এবং পেশাগতভাবে উন্নতি করা।"
২৬।।প্রশ্ন ও উত্তর
২৬।।প্রশ্ন: নিজেকে তিনটি শব্দে বর্ণনা করুন।
উত্তর:
আমি নিজেকে তিনটি শব্দে বর্ণনা করব:
- আত্মবিশ্বাসী: আমি নিজে সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাসী এবং আমি মনে করি যে আমি যে কোন কঠিন কাজ করতে সক্ষম।
- দায়িত্বশীল: আমি যেকোন কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পছন্দ করি এবং প্রতিটি কাজে সঠিক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাই।
- স্ব-উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী: আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে হবে এবং নিজেকে উন্নত করতে হবে।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে আপনাকে এমন তিনটি শব্দ বেছে নিতে হবে যা আপনার ব্যক্তিত্বের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোকে ফুটিয়ে তোলে। প্রতিটি শব্দের সাথে একটি ছোট ব্যাখ্যা দিয়ে আপনি আপনার যোগ্যতা এবং মানসিকতা প্রদর্শন করতে পারেন।
উদাহরণ:
"নিজেকে আমি তিনটি শব্দে বর্ণনা করব: আত্মবিশ্বাসী, দায়ীত্বশীল, এবং স্ব-উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে আমি যে কোন কাজ সফলভাবে করতে পারব এবং প্রতিদিন নিজেকে আরও উন্নত করতে চাই।"
২৭।।প্রশ্ন ও উত্তর
২৭।।প্রশ্ন: আপনার শক্তি এবং দুর্বলতা কী কী?
উত্তর:
শক্তি:
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: আমি সবসময় দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। আমার সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি সাধারণত সৃজনশীল এবং বাস্তবসম্মত হয়।
- যোগাযোগ দক্ষতা: আমি অন্যদের সাথে স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে যোগাযোগ করতে পছন্দ করি, যা কাজের পরিবেশে ভালো ফলাফল প্রদান করে।
- দায়িত্বশীলতা: আমি কোন কাজ হাতে নিলেই তা সম্পন্ন করার জন্য নিজের পুরোপুরি দায়িত্ব নিই এবং সময়মত কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করি।
- খুব বেশি পরিশ্রমের প্রবণতা: আমি কখনও কখনও কাজের প্রতি অতিরিক্ত সময় এবং শক্তি নিবেদিত করি, যা কখনও কখনও ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা: মাঝে মাঝে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সময় বেশি লাগে, কারণ আমি সব দিক ভালোভাবে চিন্তা করতে চাই।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে আপনাকে আপনার শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে সতর্কভাবে আলোচনা করতে হবে। শক্তির মধ্যে সেই গুণাবলী তুলে ধরুন যা আপনার পেশাগত কাজের জন্য সহায়ক, এবং দুর্বলতার মধ্যে এমন কিছু উল্লেখ করুন যা আপনি উন্নত করতে কাজ করছেন। তবে দুর্বলতাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন না করে, তা কীভাবে আপনি উন্নতি করতে চান, সেটি পরিষ্কার করুন।
উদাহরণ:
"আমার শক্তি হলো আমি সমস্যা সমাধানে দক্ষ এবং আমার যোগাযোগের ক্ষমতা খুবই ভালো। আমি কোনো কাজ হাতে নিলেই সেটি সময়মতো শেষ করার জন্য সব চেষ্টা করি। তবে, আমার দুর্বলতা হলো কখনও কখনও আমি অনেক বেশি পরিশ্রম করি, যা কিছুটা ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে, এবং মাঝে মাঝে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আমি একটু সময় নি। তবে, আমি এ সমস্যা সমাধানে আমার সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নত করার জন্য কাজ করছি।"
২৮।।প্রশ্ন ও উত্তর
২৮।।প্রশ্ন: আপনার এই পর্যন্ত সাফল্যে কাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি?
উত্তর:
আমার সাফল্যে আমার পরিবার এবং শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
- আমার পরিবার: আমার পরিবার আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক। তারা সব সময় আমাকে সমর্থন এবং প্রেরণা দিয়েছে, যা আমাকে আমার লক্ষ্য পূরণের পথে সাহায্য করেছে। বিশেষত, আমার মা, যিনি আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক, আমাকে কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব শিখিয়েছেন।
- আমার শিক্ষকরা: আমার শিক্ষকরা আমাকে শুধু পাঠ্য বিষয়েই সাহায্য করেননি, বরং তারা আমাকে জীবনের নানা দিক সম্পর্কে চিন্তা করতে শিখিয়েছেন। তাদের দিকনির্দেশনায় আমি নিজেকে আরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে পেরেছি।
- বন্ধু ও সহপাঠী: আমার বন্ধুরা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে, এবং সহপাঠীরা আমাকে প্রতিযোগিতার মধ্যে আরও উন্নতি করতে প্রেরণা দিয়েছে।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
এই প্রশ্নে আপনাকে এমন ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করতে হবে, যাদের সমর্থন ও উৎসাহে আপনি আজকের সাফল্য অর্জন করেছেন। পরিবার, শিক্ষক, বন্ধু বা অন্যান্য মেন্টরদের উল্লেখ করতে পারেন, যারা আপনার জীবনের প্রতি পদক্ষেপে আপনাকে সাহায্য করেছেন। তবে, তাদের ভূমিকা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করুন এবং তা তুলে ধরুন যে তাদের সাহায্য কীভাবে আপনার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উদাহরণ:
"আমার সাফল্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার পরিবার এবং শিক্ষকগণের। আমার মা আমাকে সঠিক পথে চলার জন্য সবসময় সহায়তা করেছেন এবং আমাকে কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব শিখিয়েছেন। শিক্ষকরা আমাকে শুধু পাঠ্য বিষয়ের উপর সহায়তা করেননি, তারা আমার জীবনের মূল্যবান শিক্ষাও দিয়েছেন, যা আমাকে আমার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেছে।"
২৯।।প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন:২৯।। শিক্ষায় নির্মিতিবাদ (Constructivism) বলতে কি বোঝেন?
উত্তর:
শিক্ষায় নির্মিতিবাদ (Constructivism) একটি শিক্ষণ তত্ত্ব যা বিশ্বাস করে যে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পূর্ববর্তী জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন জ্ঞান নির্মাণ করে। এটি শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে শিক্ষায় অংশগ্রহণ এবং তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।
নির্মিতিবাদের মূল ধারণা হল যে, জ্ঞান একেবারে সঠিক বা এককভাবে প্রতিষ্ঠিত কিছু নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে সম্পর্কিত এবং ধারাবাহিকভাবে গঠনশীল। শিক্ষকের ভূমিকা এখানে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা, তাদের চিন্তা-ভাবনার জন্য একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা, এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা।
এটি আরো দাবি করে যে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে মতামত বিনিময় করার মাধ্যমে এবং নিজেদের মতামত গঠন করে ভালোভাবে শিখে।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
যখন আপনি নির্মিতিবাদ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিবেন, তখন মূলত শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন কিছু শিখার ধারণাকে ব্যাখ্যা করুন। শিক্ষকের ভূমিকা এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনার গুরুত্ব বোঝানো গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ:
"শিক্ষায় নির্মিতিবাদ একটি তত্ত্ব যা বিশ্বাস করে যে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ববর্তী জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থেকে নতুন জ্ঞান গড়ে তোলে। যেমন, যখন একজন শিক্ষার্থী একটি প্রকল্পে কাজ করে এবং অন্যদের সাথে আলোচনা করে, তখন সে তার পূর্ববর্তী ধারণার সঙ্গে নতুন তথ্য যোগ করে এবং তার শেখার প্রক্রিয়া প্রগতি ঘটায়।"
৩০।।প্রশ্ন ও উত্তর
৩০।।প্রশ্ন: সর্বাশিক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আপনি কি জানেন?
উত্তর:
সর্বাশিক্ষা মিশন (SSA) হল ভারতের একটি জাতীয় শিক্ষা উদ্যোগ যা ২০০১ সালে শুরু হয়েছিল, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ৬-১৪ বছর বয়সী সকল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা। এই মিশনের মাধ্যমে সরকার ভারতের প্রতিটি কোণে শিক্ষা পৌঁছানোর লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এটি নিরক্ষরতা নির্মূল, সমস্ত শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমানো নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
সর্বাশিক্ষা মিশনের উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপ:
1. **শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা:** প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা যাতে তারা প্রাথমিক শিক্ষা পায়।
2. **শিক্ষার মান উন্নয়ন:** শিশুদের শিক্ষা মান উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, এবং শিক্ষার সৃজনশীল পদ্ধতি গ্রহণ করা।
3. **শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার:** প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন করা।
4. **লিঙ্গ সমতা:** নারী ও পুরুষের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে সমতা স্থাপন করা।
5. **শিক্ষা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা:** শিশুরা যেন স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থাকে, সে জন্য বিভিন্ন উৎসাহমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কীভাবে উত্তর দেবেন:
সর্বাশিক্ষা মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো ৬-১৪ বছর বয়সী সকল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া। আপনি উত্তর দেওয়ার সময় এর লক্ষ্যগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে পারেন, যেমন শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমানো।
উদাহরণ:
"সর্বাশিক্ষা মিশন ২০০১ সালে শুরু হয়, এর লক্ষ্য ৬-১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশুকে শিক্ষার সুযোগ দেওয়া। এর মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো এবং শিক্ষার মান উন্নত করা।"
No comments:
Post a Comment