Motivational Quote by Swami Vivekananda
"Arise, awake, and stop not until the goal is reached." – Swami Vivekananda
"উঠো, জাগো, এবং লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত থেমো না।" – স্বামী বিবেকানন্দ
WBPSC ক্লার্ক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং নির্দেশিকা
বহু আপেক্ষার পর আগামীকাল, অর্থাৎ ১৬/১১/২০২৪ এবং ১৭/১১/২০২৪ তারিখে WBPSC ক্লার্ক পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। । MCQ ফরম্যাটে পরীক্ষা দিতে গেলে কিছু বিষয় সতর্কতার সাথে মেনে চলা আবশ্যক।
1. পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু তথ্য:
- মোট সময়: ৯০ মিনিট
- মোট প্রশ্ন: ১০০টি
- নেগেটিভ মার্কিং: প্রত্যেক ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।প্রশ্নপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় একবার দেখে নেবেন
- বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন বিতরণ:
- ইংরেজি ভাষা: ৩০ নম্বর
- অঙ্ক: ৩০ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান: ৪০ নম্বর
2. প্রতিটি বিষয়ে দক্ষতা:
ইংরেজি ভাষা:
৩০ নম্বরের মধ্যে Antonyms, Synonyms, Spelling Test, Idioms, One Word, Sentence Improvement, Spotting Error, Voice Change, Narration Change ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন আসবে। আপনার যদি কোনো উত্তর জানা থাকে, সরাসরি সেটি দিন, তবে প্রশ্নটি একবার খেয়াল করে নিন। যদি না জানা থাকে, তবে কাটিং পদ্ধতি ব্যবহার করুন, অর্থাৎ যেগুলি স্পষ্টত ভুল তা কাটুন এবং গেস করার চেষ্টা করুন। Spotting Error-এও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
অঙ্ক:
৩০ নম্বরের জন্য সময়, কাজ, অনুপাত, হার, শতকরা, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন আসবে। PSC সাধারণত কঠিন অঙ্ক দেয় না। ৩০টির মধ্যে আপনি ২০টি সহজ প্রশ্ন পেয়ে যাবেন। সুতরাং, আপনি যে সমস্যা একবারের প্রচেষ্টায় সমাধান করতে পারছেন, সেগুলি করে বেরিয়ে যান। সময় নষ্ট না করে, অপশনগুলির সাথে মিল না হলে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যান।
সাধারণ জ্ঞান:
৪০ নম্বরের জন্য সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে প্রশ্ন আসবে। প্রশ্নটি ভালভাবে পড়ুন এবং বুঝুন, কারণ প্রশ্নে অনেক সময় ধোঁকা থাকে। একবার পুরো প্রশ্ন পড়ে তারপর উত্তর দিন।
3. নেগেটিভ মার্কিং সচেতনতা:
গেসিং একটি শিল্প, কিন্তু অন্ধভাবে গেসিং করা উচিত নয়। যদি সমস্ত অপশনই অজানা হয়, তবে সেই প্রশ্নটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
পরীক্ষার সময় নির্দেশিকা:
1. প্রথমে সহজ প্রশ্ন সমাধান করুন:
প্রথমে সহজ প্রশ্নগুলো সমাধান করুন, এবং প্রশ্নপত্রে যেগুলি করতে পারছেন ,সেগুলিতে টিক চিহ্ন দিয়ে এগিয়ে যান। যেগুলি আপনি জানেন না, সেগুলি পরে দেখার জন্য ক্রস দিয়ে রেখে দিন। এতে সময়ও বাঁচবে এবং আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
2. OMR শিট পূরণ:
OMR sheet এ নাম ,রোল question type (A,B,C,D) সঠিকভাবে যথাযথ স্থানে লিখুন এবং সঠিকভাবে গোলপাকান।এক্ষেত্রে কোনো রকম ভুল করা যাবে না ,সেক্ষেত্রে একটু সময় নিয়ে শান্তভাবে কাজটি করুন।উত্তর গোল পাকানোর ক্ষেত্রে- অনেকেই OMR শিট পূরণ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে। কেউ সবাই শেষে করে গোল পাকায়, আবার কেউ একটি করে একটি করে গোল পাকায়। তবে আমার পরামর্শ, একটি পাতার সকল প্রশ্নের উত্তর করার পর গোল পাকিয়ে পরবর্তী প্পাতায় চলে যান।
3. মনের শান্তি বজায় রাখুন:
পরীক্ষার সময়, নার্ভাস না হয়ে ধীরস্থির থাকুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং মনোযোগ ধরে রাখুন, কারণ মনোযোগ হারালে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
4. প্রশ্নের কাঠিন্যতা:
প্রশ্ন সহজ হতে পারে বা কঠিন হতে পারে। ঘাবড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এটি প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা প্রশ্ন কঠিন হলে সবার ক্ষেত্রেই সাধারনত কঠিন হবে। একবার স্টিভোয়া কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ইডেনের পিচ ত স্পিনারের করা হয়েছে আপনি এটা নিয়ে কিভাবছেন। উনি উত্তর দিয়েছিলেন পিচ যেমনি হোক দু দলকেই ত ওই পিচে খেলতে হবে। সুতরাং নিজেকে পিচ নিয়ে ভাবার থেকে কঠিন পিচে কিভাবে রান করা যায় সেদিকে ভাবাই ভালো।
পরীক্ষার দিন প্রস্তুতি:
- পর্যাপ্ত ঘুম: পরীক্ষার আগের রাতে ভালো ঘুম নিন, যাতে আপনি সতেজ অনুভব করেন।
- পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছান আগে থেকেই: সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছান এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাঘাট সম্পর্কে আগেই জেনে রাখুন।
- দরকারি ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন: প্রবেশপত্র, পরিচয়পত্র, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে রাখুন।
সবশেষে:
আপনার এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও চেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় অংশ নিন। সাফল্য আপনিই অর্জন করবেন। মনে রাখবেন, চাপ নেবেন না—আপনি যা চাইছেন, তা অর্জন করতে পারবেন, শুধুমাত্র নিজেকে বিশ্বাস করুন।মনে মনে বলুন ,Yes I Can
এক বিখ্যাত দৌড়বিদের কথা মনে পড়ে—যখন সে দীর্ঘ রেসে ছুটতে পারছিল না এবং শক্তি কমে যাচ্ছিল, তখন সে তার ফেলে আসা আনন্দদায়ক স্মৃতিগুলিকে মনে করে শক্তি ফিরে পেয়েছিল।,পরীক্ষা এক দু ঘন্টা আগে বেশি পড়বেন না হালকা দেখতে পারেন বা কারো সাথে বেশ ফ্রেশ আড্ডা দিতে পারেন।আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক হরমোন ক্ষরন হয় আনন্দের সময় যা মস্তিষ্ক কে অধিকতর কার্যকারী রাখে ।সুতারাং নিজেকে যতদূর সম্ভব হাসিখুশি আনন্দে রাখুন,মনে রাখুন আপনি কিছু হারাতে আসেন নি ,আপনি পেতে এসেছেন।
শুভেচ্ছা রইল!
No comments:
Post a Comment